fbpx
ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কিছু সমস্যা

ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত কিছু সমস্যা

আপনার ব্যবসাকে সহজে সবার কাছে পৌছে দেওয়ার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। আপনার পণ্যের বা সার্ভিসের বিস্তারিত খুব সহজেই আপনি অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আপনার ব্যবসার পরিধি প্রসারন এবং ব্যবসার উন্নতিতে ওয়েবসাইট এর গুরুক্ত অবর্ননীয়। বহিঃবিশ্বে অনলাইন ব্যবসা করে আর ওয়েবসাইট নেই এমন মানুষ খুবই কমই আছে। কিন্তু আমরা ২০২০ সালে এসেও অনেক পিছিয়ে আছি। তবে আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।

আমরা যারা ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট বানাই তারা অনেক সময় নানা বিষয় না জানার কারনে এমন ওয়েবসাইট বানাই যেগুলো আমাদের ক্রেতা বা ভিসিটরদের বিরক্ত করে, আকর্ষিত করতে পারে না। বর্তমান ডিজিটাল সময় টা উন্নত প্রযুক্তির যুগ। তেমিনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর প্রযুক্তিও এখন অনেক উন্নত। রেসপনসিভ, আকর্ষনীয় ও ডায়নামিক ওয়েবসাইট বানাতে হবে আপনার ক্রেতা বা ভিসিটরদের আকর্ষিত করতে। কিন্তু ওয়েবসাইট বানানোর সময় স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি ব্যবহার না করার ফলে ওয়েবসাইট রেসপনসিভ হয়না, ডায়নামিক হয়না ফলে আমাদের ওয়েবসাইটে বাউন্স রেট বেড়ে যায়। ক্রেতা বা ভিসিটর রা বিরক্ত হয়। এতে আমাদের ব্যবসাতে অনেক ক্ষতি হয়।

আসুন আমরা জানি কি কি ভূল করি আমরা ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রেঃ

ওয়েবসাইট রেসপনসিভ বানাই নাঃ আমরা ওয়েবসাইট বানানোর সময় রেসপনসিভ ওয়েবসাইট বানাই না এটা খুব বড় ভূল। যখন স্মার্টফোনের ব্যবহার ছিল না তখন মানুষ কম্পিউটারেই ওয়েবসাইট ভিসিট করত। কিন্তু এখন মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন কিছু ইউজার ট্যাব ইউজ করে। আর বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনের ভিসিটর অনেক বেশি। তাই ওয়েবসাইট বানানোর সময় অবশ্যই সব ধরনের ডিভাইসে সাইট যাতে রেসপনসিভ হয় সেই দিক টা মাথায় রাখা জরুরি। এই জন্য এই সব দিক বিবেচনা করলে দক্ষ ডেভেলপার দিয়ে রেসপনসিভ ওয়েবসাইট বানাতে হবে।

আগে যারা ওয়েবসাইট বানিয়েছেন উনারা ওয়েবসাইট গুলো আর আপডেট করেন না। বর্তমান সময়ের ভিসিটরদের কথা চিন্তা করে সেইগুলো আপডেট করা উচিৎ। নতুন যারা ওয়েবসাইট বানানোর চিন্তা করেন তাদেরও রেসপনসিভ ব্যপার টা মাথায় রেখে ওয়েবসাইট বানানো উচিৎ।

ওয়েবসাইট এর স্পীড নিয়ে কাজ না করাঃ আমার মনে হয় একটা ওয়েবসাইট ভিসিটের একটা সবচেয়ে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা ওয়েবসাইট এর লোডিং টাইম। ভিসিটররা সবকিছু ফাস্ট চাই। ওয়েবসাইট ভিসিট করতে গিয়ে যখন দেখে ওয়েবসাইট টি লোডিং হতে অনেক সময় নিচ্ছে তখন তারা বিরক্ত হয় এবং সাইট ভিসিট করা বাদ দিয়ে বেরিয়ে আসে। ভিসিটর দের এত ধর্য্য নেই দীর্ঘসময় ওয়েবসাইট লোডিং এর জন্য অপেক্ষা করবে। ওয়েবসাইট লোডিং স্পীড সময় কমাতে না পারলে আপনি নিশ্বিত ভিসিটর হারাবেন।

সাইটের স্পীড খুবই সংবেদনশীল ব্যপার। ওয়েবসাইট এর স্পীড বাড়ানোর অসংখ্য উপায় আছে। তবে কোন সাইটের জন্য কোন উপায় কাজে লাগবে এটা বলা কঠিন। অনেকে ইন্টারনেটে পাওয়া বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখে সাইট এর স্পীড বাড়াতে গিয়ে উল্টা বিড়ম্বনায় পড়েন। সাইট ফাস্ট হয়না উল্টা নানা রকম এরর দেখা দেয়। তাই জেনে বুঝে ভালভাবে স্পীড বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আর একবার স্পীড বাড়ালে আজীবন স্পীড এভাবেই চলবে ব্যপার টা এমন নয়। তাই নিয়মিত সাইট এর লোডিং চেক করুন।

টার্গেট অডিয়েন্স চিন্তা না করে ওয়েবসাইট বানানোঃ সাইট বানানোর পূর্বেই চিন্তা করা উচিৎ কাদের কে টার্গেট করে সাইট বানানো হচ্ছে। এখন ইউএক্স/ইউআই ডিজাইনকে অনেক গুরুক্ত দেওয়া হচ্ছে। ডেভেলপার কে ওয়েবসাইট বানানোর আগে অবশ্যই ক্লাইন্টের ব্যবসা সম্পর্কে ভাল্ভাবে জেনে নেওয়া উচিৎ এবং ভিসিটর এনালাইস করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা। এই জন্য অবশ্যই অডিয়েন্স চিন্তা করে ওয়েবসাইট বানাতে হবে। তাছাড়া ক্রেতা বা ভিসিটর হারানোর সম্ভাবনা আছে।

ব্রোকেন লিংকসঃ ডায়নামিক , রেসপনসিভ, হাই স্পিডি, টার্গেট অডিয়েন্স এর মত আরেক টা গুরুক্তপূর্ন ব্যপার হল ব্রোকেন লিংকস। ব্রোকেন লিংকস বলতে বলতে বোঝায় কোন পেজে ক্লিক করার পর পেজটি টি খুজে না পাওয়া। ব্রোকেন লিংকস গুলো ক্লিক ৪০৪ এরর দেখায়। যখন একজন ক্লাইন্ট বা ভিসিটর গুরুক্তপূর্ন তথ্য আছে ভেবে ক্লিক করে ব্রোকেন লিংক পাই তখন ব্যপারটি তাদের কাছে হতাশার। পাশা পাশি বিরক্তও হতে পারে। এতে আপনি ক্লাইন্ট হারাতে পারেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইন এর সময় ডেভেলপার ওয়েবসাইট ডিজাইন এর সময় সাইট এর ইউআরএল স্ট্রাকচার ঠিক না করে সেকশন, ইমেজ, বাটনসহ বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনাল লিংক করে ফেলেন। এমতাবস্থায় সাইট লাইভ করলে ভিসিটররা বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। তাই সাইট লাইভ করার আগে অবশ্যই ব্রোকেন লিংকস আছে কিনা চেক করে নিতে হবে।

এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট না বানানোঃ ওয়েবসাইট বানানোর উদ্দেশ্যই হল ওয়েবসাইটে ভিসিটর আনা। পণ্য বা সেবার সার্ভিস ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ক্রেতাগনের কাছে পৌছানো। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সাইটটা সার্চ ইঞ্জিনের অপটিমাইজেশন বা এসইও করা জরুরি। এই জন্য সাইটের এসইও করতে হলে অবশ্যই সাইটটি এসইও ফ্রেন্ডলি হওয়ার আবশ্যক। ব্যবসায় কম্পিটিটর থাকে তেমনি কম্পিটিটরদের ওয়েবসাইট থাকে। আর ক্রেতাগন বা ভিসিটর রা আপনার ব্যবসার নাম লিখে সার্চ দিবে না। তাদের যে ধরনের পণ্য বা সেবা দরকার সেইটা সার্চ করবে । সার্চে যেগুলো আসবে ক্রেতাগন বা ভিসিটর গন তাদের সাইট পাবে তাদের পণ্য বা সেবা নিবে। এই জন্য আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট বানাতে হবে এবং এসইও করাতে হবে যাতে সার্চ করলে আপনার সাইট টা ক্রতাগন বা ভিসিটর শুরুতে বা প্রথম পেজে পাই। ক্রেতা বাড়াতে এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট এর ভূমিকা অপরিসীম।

Chat with us